বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনে লিকেজ, তেল চুরির অভিযোগ
উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ ও পরিবহন খরচ কমাতে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আসে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার। বাংলাদেশ সীমান্তে চিরিরবন্দর উপজেলায় জ্বালানি তেলবাহী পাইপ ফুটো করে তেল চুরি করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড সেন্সরের মাধ্যমে বুঝতে পারে বাংলাদেশ সীমান্তে পাইপ লিকেজ হয়েছে। পরে বাংলাদেশের পার্বতীপুর অয়েল হেড ডিপোতে জানালে তারা দ্রুত পাইপ চেক করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেলুসা ডাঙা এলাকায় দেখতে পান মাটি ভেজা। তখন সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে লাইনম্যানরা মাটি খুঁড়ে দেখতে পান তেলের পাইপ ফুটো করা এবং সেটা ক্লিপ দিয়ে বন্ধ করা।
চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে ড্রিল মেশিনের সাহায্যে ছিদ্র করে কে বা কারা তেল বের করেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের দুইজন লাইনম্যান, যে জমির নিচে পাইপ লিকেজ করা হয়েছে সেই জমির মালিক ও পাশের একটি টংঘর যেখানে মাটি ভেজা পাওয়া গেছে সেই টংঘরের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চিরিরবন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম শরিফুল হক বলেন, ইতোমধ্যে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয় স্যার ও এসপি মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডকে ইতোমধ্যে অবগত করা হয়েছে। ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ার ও লাইনম্যান আসতেছে। তারা এলে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
পার্বতীপুরে রেল হেড অয়েল ডিপোর ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল আমাদের এরিয়ার মধ্যে নয়। তবে কিছু ব্যক্তি ড্রিল করে পাইপলাইন থেকে তেল নেওয়ার চেষ্টা করে। সেন্সরে ধরা পড়লে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই তারা ব্যর্থ হন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ইমরান আলী সোহাগ/এমজেইউ