নৌকা চান সাবেক এমপি বদি ও তার স্ত্রী-শ্যালক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া-টেকনাফ) নৌকার মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম কিনে জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। একই আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বদির স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, তার চাচা শ্বশুর জাফর আলম চৌধুরী, শাহীন আক্তারের আপন ভাই উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
২০০৮ সালে এই আসনটি ছাড়া জেলার তিন আসনেই হেরে যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এখানে আবদুর রহমান বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নানাভাবে বিতর্কিত হন। এরপর ২০১৪ সালেও বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে বদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও স্ত্রী শাহীনা আক্তার মনোনয়ন পান এবং তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ভোটারদের অভিযোগ, শাহীনা আক্তার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে এলাকায় সময় দেননি। কিন্তু এবারও নৌকা চান তিনি। সম্ভাব্য নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দাবি, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে এবার নতুন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও এবার নির্বাচন করতে সে জটিলতা নেই বলে দাবি আবদুর রহমান বদির।
এবার নৌকার মনোনয়ন তিনিই পাবেন দাবি করে বদি বলেন, উখিয়া ও টেকনাফে আমার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তি দলে নেই। আমি এলাকার মানুষকে চাল, ডাল, তেলসহ নগদ অর্থসহায়তা দিয়ে আসছি এবং এলাকার উন্নয়ন করেছি। অনেকেই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। স্ত্রী শাহীনা আক্তারের মনোনয়নপত্র নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে আমার স্ত্রী আবারও মনোনয়ন চেয়েছেন।
বদির শ্যালক উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবার চেয়ারম্যান তিনি। এবার তিনি সংসদ সদস্য হতে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সঙ্গে আছি। এখন দলের মনোনয়ন চেয়েছি। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাব।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মনোনয়ন ফরম সবাই নিতে পারে। তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে। দেখার বিষয় হচ্ছে দলীয় হাইকমান্ড কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে। দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা সবাই তার পক্ষে কাজ করব।
সাইদুল ফরহাদ/এএএ