আ.লীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি মনোনয়ন পত্র কেনেন এবং মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে তিনি সেটি জমা দিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-১ আসনটি বরাবরের মতো জাতীয় পার্টির দখলে থাকলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটি দখল নেয় আওয়ামী লীগ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার অভিভাবক হিসেবে দেখতে চায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতিকে।
ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়মিত জনসংযোগ ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকও করছেন তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আওয়ামী পরিবারে আমার জন্ম। দাদা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ৩ বারের সংসদ সদস্য মরহুম শামসুল হক চৌধুরী এবং বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন ২ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২৩ বছর থেকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার দায়বদ্ধতা থেকে আমিও মানুষের সেবা করছি। যতটুকু সম্বল আছে, ততটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনারও কুড়িগ্রামের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনটিতে দারিদ্যপীড়িত ও অধিকার বঞ্চিত নদীভাঙন কবলিত মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করার চেষ্টা করব। বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং দাতা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণসহ এলাকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। নদীভাঙন রোধ করা আর এই নদীকে শাসন করে নদীপাড়ে শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে দুই উপজেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আওয়ামী পরিবারে জন্ম। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শোভনের দাদা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম শামসুল হক চৌধুরী ১৯৭০, ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং ১৯৭৭ সালে দেশের ক্রান্তিলগ্নে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগ, ১৯৯১ সালে যুবলীগের সভাপতি ছিলেন ও ২০১৪ সাল থেকে দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ২৩ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে শোভনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত করায় জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রাম-১ আসন শোভনের নেতৃত্বে পুনরুদ্ধার হয়। এলাকার তরুণ প্রজন্মের কাছে শোভন এ আসনে অনেক জনপ্রিয়তা হিসেবে পরিচিত।
জুয়েল রানা/আরকে