প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা : দুই আসামি রিমান্ডে
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা মামলায় দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরা শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামের মৃত আবদুস সোবাহানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ছোটন (৩৩)।
হোসেনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার রিমান্ড শুনানি হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যে প্রাথমিক তথ্য এবং এখন পর্যন্ত তদন্তে যে প্রাপ্ত তথ্য আছে তার সামঞ্জস্য ও সুস্পষ্টতা নির্ধারণের জন্যই আমরা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন
এর আগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেছিলেন, এ ঘটনায় আমরা সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসছিলাম এর মধ্যে পাঁচজনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওদের কাছে সন্দেহজনক কিছু পায়নি। এর মধ্যে দুজনকে সন্দেহজনক মনে করায় গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম ও জহিরুল ইসলাম ছোটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামের নিজ ঘরের দুটি বিছানা থেকে সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যার (৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঞ্জিল মিয়া ২০১৭ সালে সৌদি আরবে যান। বাড়িতে তার স্ত্রী তাছলিমা তাদের দুই মেয়ে মোহনা ও বন্যাকে নিয়ে বসবাস করতেন। দুই মেয়ের মধ্যে মোহনা বাসুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি এবং বন্যা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলার বাদী নিহত তাছলিমা আক্তারের ভাই কবিরুল ইসলাম নয়ন বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার বোন ও দুই ভাগনিকে হত্যার বিচার চাই।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর