বরিশালে টানা বৃষ্টি, নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বরিশালে ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। তবে এখনও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। মিধিলি’র কারণে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস থেকে নদী বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমরা অভ্যান্তরীণ রুটে চলাচলকারী ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছি। এছাড়া বরিশাল-ইলিশা-মজুচৌধুরীরহাট রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়নি এখনো।
আরও পড়ুন
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালে। এতে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে।
তিনি জানান, কেন্দ্রে ৫১ থেকে ৫৪ কিলোমিটার গতিতে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকাগুলোকে দ্রুত তীরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ইতোমধ্যে সংকেতের জন্য পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বরিশাল জেলায় মোট আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৪১টি। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএএ