ট্রেনে আগুনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
টাঙ্গাইলে ঘারিন্দা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নাশকতার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা স্টেশনে গিয়ে আগুন লাগা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রাত ৩টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। যদিও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘারিন্দা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রেন স্টেশনে থাকায় কমিউটার ট্রেনটি দেখা যাচ্ছিল না। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করার পরেই আগুনের ধোয়া দেখতে পায় স্টেশনে থাকা রেল কর্তৃপক্ষ। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার পর প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
টাঙ্গাইল রেলস্টেশনের বুকিং মাস্টার সেলিম জানান, সকালে সাতটায় টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ট্রেনের দুটি বগি পুরোপুরি ও একটি বগির আংশিক পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইদ্রিস আলী জানান, আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় ট্রেনের দুইটি বগির সিট, ফ্যানসহ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া একটি বগির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি নাশকতা।
আরও পড়ুন
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা।
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, নাশকতা করার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ অবরোধ চলছে। অবরোধে নাশকতা এড়াতে আগে থেকেই আনসার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত ছিল। গতরাতে দুষ্কৃতিকারীরা ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এতে দুইটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে এবং একটি বগির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এটি একটি নাশকতা। এই ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মামলা করবে। আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
অভিজিৎ ঘোষ/এএএ