বিদ্যালয় মাঠেই ছাত্রদের নেশার আসর

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নেশার আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয় মাঠে কিছু ছাত্রকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে তারা ওই ছাত্রদের আটক করতে গেলে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। অবশেষে তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে এলাকাবাসী আটক করে। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চখমুখী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা পিকনিকের পরে নেশা জাতীয় কিছু খেয়েছিল এবং এলাকাবাসী তাদের আটক করে। আমরা এই বিষয়টা নিয়ে বুধবার বসেছিলাম। পরে মুচলেকা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্রদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এরপর এই ধরনের কোনো কাজ করলে তাদেরকে স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম উদ্দীন বলেন, কালকে বিকেলে আমাদের স্কুল ছুটির পরে, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি পিকনিক করে। যেটার জন্য আমিই অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি অনুমতির পাশাপাশি আমাদের অফিস সহকারীকে সেখানে থাকতে বলেছিলাম। নবম শ্রেণির ছাত্ররা ওই অফিস সহকারীর কথা অমান্য করে নেশা জাতীয় দ্রব্য খায়। এটা আমি জানতে পেরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসে সমাধান করি।
ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্য কামরুল হাসানকে মোবাইল ফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কিছু বলব না।
এ বিষয়ে একজন সচেতন নাগরিক নাসির হোসাইন বলেন, আমাদের এই স্কুলে এর আগেও শুনেছি যে বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য খেয়েছে। আমি মনে করি স্কুলে ভালো করে ক্লাস না হওয়ার ফলে এবং অভিভাবকরা সচেতন না থাকার কারণে এরকম ঘটনা ঘটে। আমি এসবের সমাধান চাই।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, আমরা এ পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ঝুঁকি অনুভব করছি। আমার বাচ্চাও যদি এখানে ওদের সঙ্গে মিশে নেশা করতে শুরু করে তখন কি হবে। আমরা চাই নেশা মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান করা হোক।
ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসারের কর্মকর্তা দৌলত উজজামান বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়টা নিয়ে তারা সমাধান করেছেন এবং মুচলেকা নিয়ে সেই ছাত্রদের ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরও আমরা সেই প্রতিষ্ঠানে খুব তাড়াতাড়ি পরিদর্শনে যাব।
আরিফ হাসান/আরকে