জরিমানা গুনল জয়পুরহাটের দুই ফিলিং স্টেশন
ফিলিং স্টেশনে প্রতি ১০ লিটারে অকটেন ইউনিটে ১৮০ মিলিলিটার ও ডিজেল ইউনিটে ৭০ মিলিলিটার করে কম দেওয়া হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, ওই ফিলিং স্টেশনে একটি নতুন স্থাপিত ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিট বিএসটিআই হতে ভেরিফিকেশন ও স্ট্যাম্পিং না নিয়েই চালু রাখা হয়েছিল। এছাড়া ট্যাংকের মজুতের তথ্যেও ছিল গরমিল। এমন অপরাধে জয়পুরহাটের দুইটি ফিলিং স্টেশনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারের মেসার্স খালিদ ফিলিং স্টেশন ও নিশ্চিন্তা বাজারের মেসার্স ওমর ফিলিং স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই তাদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বন্যা ও ক্ষেতলালের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুল আরা। এতে বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক মিঠুন কবিরাজ (মেট্রোলজি) সহযোগিতা করেন।
বিএসটিআই জানিয়েছে, বটতলী বাজারের মেসার্স খালিদ ফিলিং স্টেশন ওজনে কম দিচ্ছিল। তারা একটি নতুন স্থাপিত ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিট বিএসটিআই হতে ভেরিফিকেশন ও স্ট্যাম্পিং না নিয়ে চালু রেখেছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ফিলিং স্টেশনটির পক্ষে জুয়েল সরকার পরিশোধ করেছেন।
এছাড়া নিশ্চিন্তা বাজারের মেসার্স ওমর ফিলিং স্টেশনে স্টোরেজ ট্যাংকের মজুদ সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় একই আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই ফিলিং স্টেশনের পক্ষে মুরশিদ উল ইসলাম জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন।
বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক মিঠুন কবিরাজ বলেন, দুইটি ফিলিং স্টেশনে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইনে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চম্পক কুমার/এমজেইউ