ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোট কারচুপির অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের (সরাইল ও আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় উন্মুক্ত ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
সাতটি ভোটকেন্দ্রে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ তুলে জিয়াউল হক মৃধা বলেন, সরাইলের প্রায় সবকটি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রে সরবরাহকৃত ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ, যা সূক্ষ্ম কারচুপির অংশ হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এছাড়া আশুগঞ্জের শরীফপুর, আন্দিদিল, যাত্রাপুর, বড়তল্লা, টেকেরপাড়, চরচারতলা ও নাওঘাট কেন্দ্রে নৌকার জাল ভোট দেওয়া হয়েছে এবং আরও কয়েকটি কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা চলছে। আমি শরীফপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিলের দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন থেকে যে তালিকা আমাদের দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা আমরা ভোটের সরঞ্জামের সঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে পাঠিয়েছি। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঞা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাত্তার।
এমজেইউ