অনেকক্ষণ পর আসে দু-একজন ভোটার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তবে কেন্দ্রে ভোটারদের অংশগ্রহণ খুবই কম। রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় একাধিক ভোটকেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, আসনটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৩২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
আশুগঞ্জের আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয়, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দগরিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারুয়া শালুকপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কিছুক্ষণ পর পর দু-একজন করে ভোটার আসছেন। ফলে ভোট পড়ছে কম। প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৭০ থেকে ১৮০টি।
আরও পড়ুন
সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সালাউদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে জানান, খুবই কম পড়ছে। এখনো পর্যন্ত মাত্র ২৫০টির মতো ভোট পড়েছে।
এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় ৮ শতাধিক পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্যসহ র্যাব, আনসার, জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঞা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাত্তার।
এমজেইউ