নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে মা ইলিশ ধরায় ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মা ইলিশ ধরায় গত ২২ দিনে ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ২২ দিনের অভিযানে আটক এসব জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা মৎস্য বিভাগের এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) থেকে অভয়াশ্রম এলাকাগুলোতে মাছ ধরতে পারছেন জেলেরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলায় টাস্কফোর্স অভিযান ৫৪৬টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে আটক ৩৭৪ জেলেকে ৮৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় এবং মামলা হয় ৪১৬টি। কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় ২৪ লাখ ৮৯৫ মিটার।
এছাড়া ২৪টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছঘাট ৩৭০, আড়ত ২০৬৮ ও বাজার এলাকায় ৮৯২ বার পরিদর্শন করেছে টাস্কফোর্স।
অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে জব্দ হয়েছে ২ দশমিক ২৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ। আটক জেলেদের কাছ থেকে মৎস্য আইনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩২ টাকা।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশ নিরাপদ প্রজনন রক্ষায় আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। অভিযানে মৎস্য বিভাগকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও কোস্টগার্ড সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আমরা ইলিশ ধরা থেকে বিরত জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছি। তাদের সচেতন করেছি। কারণ এসব ইলিশ ডিম ছাড়লে এবং বড় হলে তারাই ধলে লাভবান হবে। তারপরেও যারা আইন অমান্য করে মা ইলিশ ধরেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এমএসএ