একমাত্র ছোট ভাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিঙ্কি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ছোট ভাই রাব্বি মিয়াকে (১৫) হারিয়ে দিশেহারা পিঙ্কি আক্তার (১৯)। বাবার মৃত্যুর পর মায়েরও বিয়ে হয়ে যায়। ছোট ভাই রাব্বিকে নিয়েই বাঁচার স্বপ্ন দেখতেন পিঙ্কি। সেই ভাই রাব্বিও গতকাল চিরদিনের জন্য চলে যায় তাকে ছেড়ে।
রাব্বি মিয়া ও পিঙ্কি আক্তার কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মানিক মিয়ার সন্তান। রাব্বি মিয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাতো। তার সেই আয়ের টাকায় চলতো সংসার।
নিহত রাব্বি মিয়ার মামাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, রাব্বি ও তার বোন পিঙ্কি ছাড়া তাদের পরিবারে কেউ নেই। অসহায় পিঙ্কির পাশে সরকার না দাঁড়ালে তার পথে বসা ছাড়া উপায় নেই। পরিবারের একমাত্র সদস্য ভাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিঙ্কি।
আরও পড়ুন
রাব্বির বড় বোন পিঙ্কি আক্তার জানান, গত তিন বছর আগে তার বাবা মানিক মিয়া মারা যান। তারপর মায়ের বিয়ে হলে চলে যায় তাদেরকে ছেড়ে। ছোট ভাই রাব্বি মিয়াই বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাতো। এখন কীভাবে চলবেন জানেন না তিনি।
গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের জগন্নাথপুর এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এগারসিন্দুর গোধূলী ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ দুর্ঘটনায় ৭৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ ইতোমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেনি কেউ।
আরএআর