লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় এনেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুর ভোলা-রুটের ফেরি চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে স্পিডবোটসহ অন্যান্য নৌযানে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ভোলার ইলিশাঘাট থেকে থেকে ফেরি কুসুমকলি লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছে। তবে দুপুর পর্যন্ত ফেরিটি ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম ও ফেরি ঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত ছিল। এজন্য রাত ৭টার দিকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়। লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে ১২টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তবে লঞ্চ রয়েছে ৬টি। এরমধ্যে ১টি লক্ষ্মীপুর-বরিশাল রুটের অন্য ৫টি লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটের। লঞ্চগুলো মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে নৌঙর করা আছে।
মজুচৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু বলেন, দুপুর ১২টা থেকে দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ফেরি কুসুমকলি ইলিশাঘাট থেকে ছেড়ে এসেছে। কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঘাটে এসে পৌঁছায়নি। এ রুটে কুসুমকলিসহ ৪টি ফেরি সচল রয়েছে। এরমধ্যে কিষানী আমাদের ঘাটে আছে। ফেরি কাবেরী ও কলমিলতা ইলিশাঘাটে রয়েছে। এছাড়া এ রুটের আরও একটি ফেরি কনকচাপা নষ্ট অবস্থায় আমাদের ঘাট এলাকায় আছে।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, লক্ষ্মীপুরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। এতে মেঘনায় নৌ-যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট থেকে কোনো নৌযান যেন ছেড়ে না যায়, তা আমাদের তদারকিতে থাকবে। ঘূর্ণিঝড় হামুন থেকে লক্ষ্মীপুরবাসীকে রক্ষা করতে আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জরুরি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে হটলাইন নম্বর ও কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেঘনা নদী হয়ে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুট চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেটসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। ঈদ-পূজাসহ সরকারি ছুটিতে এ রুটে যাত্রীদের ভিড় থাকে। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বেশি এ রুটে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএএস