জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে দুদক

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোরের শার্শা উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দীনসহ পাঁচ সদস্যর একটি টিম দীর্ঘ সময় ধরে ওই কার্যালয়ের বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
বর্তমান কর্মকর্তার পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম শরিফ ও অফিস সহকারী সাইদুর রহমান এবং ম্যাকানিক রনি হোসেন আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে উপজেলার ৩৩৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে আদায় করে টিউবওয়েল না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাদেরকে একযোগে অন্যত্র বদলি করা হয়। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্রহণ করা নগদ টাকার বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
তবে এ ঘটনায় বর্তমান কর্মকর্তা মৌসুমী হালদারের সহযোগিতায় গত ১৭ আগস্ট সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে ৬৬ জনকে ফেরত দেওয়া হয়। তবে গ্রাহকরা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে শার্শা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মেদ তোতা বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল ও বেনাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে আসেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ৩৩৭ জনের কাছ থেকে যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন তাদের সমুদ্বয় টাকা ফেরত দিতে হবে।
তারা জানান, বর্তমান কর্মকর্তা মৌসুমী হালদার গত ১৭ আগস্ট ৬৬ জন গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় কোনো গ্রাহককে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা করে ফেরত দেয়। তাছাড়া মৌসুমী হালদার একজন অনভিজ্ঞ কর্মকর্তা। সময়মতো অফিস করেন না এবং নিজেই ঠিকাদারের কাজ করেন। বর্তমান কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করে একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, এই দপ্তরের কর্মকর্তার যোগসাজসে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সেলিম রেজার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করতে এসে সত্যতা পেয়েছি। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে এসেছে।
এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর