ফরিদপুরে কলেজছাত্রকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

পূর্ব শত্রুতার জেরে কলেজছাত্র আসাদুজ্জামানের নামে একটি ‘মিথ্যা’ মামলা করে তুষার। সেই মামলা থেকে নিষ্পত্তির কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে হাতের কব্জি নিয়ে উল্লাস করেন তিনি। ফরিদপুরে কলেজছাত্র আসাদুজ্জামানের হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এ অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দীন হাওলাদার বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যার ঘটনায় আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা আক্কাস জমাদ্দারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যা মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আলীপুর এলাকার মো. তুষার ওরফে কানা তুষার।
নিহত আসাদুজ্জামান (২৩) ফরিদপুর শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছোট ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তুষারের সঙ্গে আসাদুজ্জামানের আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তুষারের স্ত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি নিষ্পত্তি করার কথা বলে তুষার মোবাইল ফোনে আসাদুজ্জামানকে গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডেকে নিয়ে যান। পরে আসাদুজ্জামান বাসায় না ফেরায় তার বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ তাকে কয়েকবার ফোন দিলেও কোনো উত্তর পাননি। এরপর আজান জানতে পারেন আলীপুর কানাই মাতুব্বরের মোড় এলাকায় আসাদুজ্জামানের হাত কেটে তুষারের লোকজন উল্লাস করছে। তিনি আরও জানতে পারেন অম্বিকাপুর সেতুর উত্তর পাশে মেহগনি বাগানে একটি মরদেহ পড়ে আছে। আজাদ ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে গোবিন্দপুর গ্রামের জামাল মোল্লার মেহগনি বাগানে গিয়ে আসাদুজ্জামানের মরদেহ দেখতে পান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, এ হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জহির হোসেন/এএএ