গর্ভপাত করাতে গিয়ে প্রেমিকার মৃত্যু, তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
গর্ভপাত করাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে ১৬ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর প্রেমিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার বাবা। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মাদরাসার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের এক যুবকের (২৩) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। চার মাস আগে ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাকে বাড়িতে রেখে বরিশালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সুযোগে তাদের বাড়িতে যায় প্রেমিক ওই যুবক। সেখানে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে কিশোরী বিষয়টি তার প্রেমিককে জানায়।
যুবকের পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কিশোরীকে নিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী বাজারের একটি ক্লিনিকে যায়। সেখানে জানতে পারে ওই কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর থেকে ওই যুবক, তার ভাবি ও বোন মিলে কিশোরীকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেন। পরে মেয়েটিকে তারা বিভিন্ন ওষুধ সেবন করায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রক্তক্ষরণ শুরু হলে ৩০ সেপ্টেম্বর পুনরায় ওই ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
কিশোরীর মা বলেন, আমার টাকা না থাকায় সঠিক চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমার মেয়েটা মারা গেলো। ঘটনা বুঝতে পেরে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনা খুলে বলে। পরে ওই যুবকের কাছে জানতে চাইলে সেও অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। আমি ছেলের পরিবারকে জানিয়েছি। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে আমার মেয়েটাকেই মেরে ফেললো। আমি এর বিচার চাই।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস