ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তিস্তা পাড়ের মানুষ
‘হামার কপালোত শান্তি নাই বাহে। নদীপাড়োত থাকিয়্যাও বুজিন্যা কখন কি হওচে। ভারত থাকি নাকি পানি ছাড়ছে। এ্যলাতো হামার বুক ধরফর করইব্যার নাগচে। কষ্ট করা ধান আর ঘরোত তোলার সুজুগ নাই। চাইরোপাকো মাইকিং করি হামাকগুল্যাক নিরাপদ জাগাত যাবার কওছে। হামরা নিরাপদ জাগাত গেইলেও হামার বাড়িঘর, ক্ষেততো আর নিরাপদ থাকে না। এবার তিস্তাত এগারোবার পানি বাড়িল। প্রত্যেক বছর হামরা সময়-অসময়ে বানের পানিত ডুবি, তাও সরকার হামার নদী বান্দি না দেয়।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের কেল্লার পাড়ের বাসিন্দা মজিবর রহমান। পেশায় তিনি কৃষক। নিজের সামান্য বসতভিটা আর রয়েছে কয়েকটি ছাগল। এ সবই যেন তার সহায় সম্বল। হাড়ভাঙা খাটুনিতে অন্যের জমিতে এবার বুনেছেন ধানসহ শীতকালীন শাকসবজি। কিন্তু হঠাৎ করে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় তলিয়েছে তার স্বপ্ন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কেল্লার পাড় এলাকায় কথা হয় মজিবর রহমানের সঙ্গে। তিনি বাইসাইকেলে করে ধানের বস্তা নিয়ে যাচ্ছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এ সময় তার চোখে মুখে ছিল হতাশার ছাপ। কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইতেই মজিবর রহমান জানালেন, ‘লোকজন এসে মাইকিং করছে, বন্যা নাকি ভয়াবহ হবে। এ কারণে আমরা বাড়ির ধান-চাল গবাদিপশু এবং মালামাল সন্ধ্যার পরে সরিয়ে নিয়েছি।’
ষাটোর্ধ্ব বয়সী মজিবর রহমানের মতো তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের মনে এখন বন্যার আতঙ্ক জেঁকে বসেছে। যে যার মতো করে ছুটে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। কারণ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উজানের ঢলে ফুলেফেঁপে টইটম্বুর হচ্ছে তিস্তার পেট। কোথাও পানি বাড়ছে আবার কোথাও কমছে, বিপৎসীমা উপচে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। এতে সবার মনে বন্যার শঙ্কার সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশেও তিস্তায় পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে তিস্তা বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে। সিকিম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। একইসঙ্গে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা অববাহিকার মানুষজনকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে বিভিন্নভাবে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। পাউবো এবং স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে এটি ভয়াবহ বন্যার রূপ নিতে পারে। এই সতর্কবার্তা তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলার ১২ উপজেলার প্রশাসন মাইকিং করে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে জানিয়ে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপদে সরিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন
সন্ধ্যার পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী, নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, গজঘণ্টা ও মর্নেয়া, কাউনিয়ার বালাপাড়া, পীরগাছার ছাওলা, তাম্বুলপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তায় হু হু করে পানি বাড়তে থাকায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পনি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে তিস্তা-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে এরই মধ্যে পানি উঠে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এরই মধ্যে গঙ্গাচড়ার কেল্লার পাড়ে আনা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধারকারী মিনি জাহাজ। সন্ধ্যার পর থেকে আতঙ্কিত তিস্তার দু পাড়ের মানুষেরা গবাদিপশু, ধান-চালসহ ঘরবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। সব থেকে বিপাকে পড়েছেন আগাম লাগানো পাকাধান নিয়ে। পানি উঠে গেলে এই ধান আর ঘরে উঠবে না তাদের।
আব্দুল আলিম নামের এক কৃষক জানান, তিনি চরের দশ বিঘা জমিতে আগাম আমন ধান চাষ করেছেন। তার সব ধানে পাকা রঙ ধরেছে। এখন যে পরিস্থিতিতে তাতে তার ধান কেটে নেওয়ার কোনো সুযোগ হচ্ছে না। ধান তলিয়ে গেলে আর কিছুই পাওয়া যাবে না। তিনিও বাড়িঘর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন।
পূর্ব ইচলি গ্রামের নেক মামুদ বলেন, কয়দিন থাকি নদীত পানি বাড়তে আছে। তাতে ফির আইত (রাত) হইলে বৃষ্টি। হামরা বউ-ছাওয়া নিয়্যা খুব কষ্টোত আছি। ঠিক মতো ঘুম হওচে না। ভয় নাগে, কখন কী হয়। যদি ফির বড় বন্যা হয়, তােইলে কোন্টে কোনা রান্দিবারি খামো, সেই জায়গাও নাই।
এদিকে দুপুর থেকে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না। সন্ধ্যায় তিনি কেল্লার পাড় এলাকায় গিয়ে মাইকিং করে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী।
ইউএনও তামান্না নাহিদ বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, এই বন্যাটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এজন্য আমরা জনগণকে সতর্ক করছি। তাদের ধান-চাল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল বিভিন্ন স্কুলকলেজ এবং আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উঁচু জায়গাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। উঁচু স্কুলগুলোতে আমরা এরই মধ্যে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছি।
তিনি আরও জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আমাদের তৎপরতা আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তিস্তা-২ মিনি জাহাজ কেল্লার পাড়ে নিয়ে এসে রেখেছি। তবে লোকজন ভাবছেন এগুলো পূর্বের বন্যার ন্যায় হবে, সে কারণে তাদের মধ্যে সতর্কতা কম। এজন্য তাদের বোঝাতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে যারা সচেতন তারা নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে যাচ্ছেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে বুধবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২৮৫ সেন্টিমিটার এবং দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকাল থেকে ৮২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অন্য নদীর পানি। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা হতে পারে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। সর্বসাধারণকে গরু-ছাগলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সতর্ক থেকে নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা প্রাইমারি অথবা হাইস্কুলে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেহেতু ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে, তাই আমার ইউনিয়নের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং করেছি। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌকা মজুত রাখা হয়েছে।
একই উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো ঘরবাড়িতে পানি না উঠলেও এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন।
এদিকে উত্তরাঞ্চলীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ছয়টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্যারেজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বুধবার মধ্যরাতের মধ্যেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে।
বুধবার রাত ১০টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে বিকেল ৪টায় তিস্তার পানি এই পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৫টায় তা বেড়ে ১০ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ৭টা ও ৮টায় পানি বেড়ে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও রাত ৯টায় পানি কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ রাত ৯টা থেকে পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, সর্বশেষ রাত ৮টার তথ্যনুযায়ী তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি সমতলে বিপদসীমার ৩৮ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল আগামী ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত হ্রাস পেয়ে পরবর্তীতে পুনরায় বৃদ্ধি পেতে পারে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, সতর্কীকরণ বার্তা অনুযায়ী বন্যাটি ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। এ কারণে আমরা আগাম নদীপাড়ের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। যেন একজনেরও প্রাণহানি না হয়। মালামালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় । এছাড়াও পানি যতক্ষণ থাকবে, কতক্ষণ এই দুর্গত মানুষদের জন্য শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় খাবারের বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে।
এদিকে ভারত থেকে সময়-অসময়ে ছেড়ে দেওয়া উজানের ঢল, আকস্মিক বন্যা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলের হিডেন ডায়মন্ড খ্যাত কৃষি ও কৃষকরা। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভর্তুকি কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা না গেলে এই অঞ্চলে মহাবিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির ব্যর্থতা ও সরকার ঘোষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতির নীতি ক্ষয়ক্ষতি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে গত বছরের বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এ বছর কয়েক দফায় তিস্তায় পানি বেড়েছে। এখন আবার সিকিম পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়াতে বাংলাদেশের এপারে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এখন তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেবে। ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলি খেতসহ অনেকের বসতভিটা তিস্তার পেটে চলে যাবে। এভাবে প্রতিবছর তিস্তাপাড়ের মানুষেরা ঘরহারা, ভিটাহারা, উদ্বাস্তু হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভর্তুকি কিংবা পুনর্বাসনের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। না হলে কৃষিনির্ভর তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মহাবিপর্যয় দেখা দেবে।
এএএ