নোয়াখালীতে শত কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার করলো প্রশাসন
নোয়াখালীর মাইজদীতে হকার্স পুনর্বাসনের নামে শত কোটি টাকার সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নোয়াখালী সুপার মার্কেটের সামনে গণপূর্তের ৬৫ শতক জায়গায় হকারদের জন্য অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করার অভিযোগে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে ওই জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব ও সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, হকার্স মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের নামে জেলা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে গণপূর্ত বিভাগের সরকারি জায়গায় নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স সমবায় সমিতির সভাপতি একরাম উল্যাহ ডিপটির তদারকিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর তারা ফের কাজ শুরু করে। এরপর জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার আবার দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে এ জায়গা দখলমুক্ত করেন।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারা বলেন, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের স্যারের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব ও সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স সমবায় সমিতি লিমেটেডের সভাপতি একরাম উল্যাহ ডিপটি বলেন, আমার কোনো কথা নেই। আমি তদারকি করেছি সত্য।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা শহরের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের সকলের। জেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি জায়গা দখল করে কোনো পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। সকল অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।
হাসিব আল আমিন/এমএএস