এমটিএফই’র নামধারী ৬ সিইওসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মেটা ভার্স ফরেন একচেঞ্জ গ্রুপের (এমটিএফই) ২৬ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রুপটির নামধারী ৬ সিইওকে এবং অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) মামলা দায়ের করেন নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন। তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ছদ্মবেশ ধারণ করে ইলেকট্রনিক্স প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, বান্দ রোড নুরজাহান মঞ্জিলের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮), সিএন্ডবি রোডের বাসিন্দা সালাম সরদারের ছেলে নোমান আহম্মেদ সরদার (৩০), সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (বিএম কলেজ) গেট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মিলন হোসেন বাদশা (৪৮), তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০) ও তার ছেলে অলিউল ইসলাম (৩০)।
>>> নজরদারিতে এমটিএফই’র ৪০০ সিইও, মামলা হলেই গ্রেপ্তার
আদালত থেকে জানা গেছে, আসামিরা মামলার বাদীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ই-লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা করে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় লাভ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আসামিদের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্রমো কোডের মাধ্যমে বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর নামে একাউন্ট খোলেন। আসামিরা নিজেদের অর্থায়নে কিছু ডলার জমা তাদের নামে জমা দিয়ে প্রলুব্ধ করেন। প্রলোভনের ফাঁদে সাড়া দিলে বাদীসহ ১১ জন গত ১ মে থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকা জমা দেন।
১২ আগস্ট বাদীসহ ১১ জন আসামিদের কাছে গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য নগরের সিঅ্যান্ডবি রোড ফারজানা কমিউনিটি সেন্টারে নোমান আহম্মেদের সেবা অনলাইনের অফিসে যান। সেখানে যাওয়ার পর নামধারী ৬ আসামিরা জানিয়েছেন, সফটওয়ার আপডেটের কারণে ডলার ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। পরের সপ্তাহে লভ্যাংশসহ উত্তোলন করা যাবে। ১৮ আগস্ট রাতের মধ্যে বাদীসহ ১১ জনের সকল তথ্য ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
১৯ আগস্ট সেবা অনলাইনের অফিসে গেলে আসামিরা জানান, সব টাকা উত্তোলন করে এমটিএফই’র প্রধান সিইও নোমান দুবাই চলে গেছেন। তিনি ফিরে এলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
২০ আগস্ট নোমানকে পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি জানান, টাকা বিদেশিরা নিয়ে গেছে। পরে আসামিরা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে