তিস্তায় নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী, ৩৩ ঘণ্টা পর মিলল একজনের লাশ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ হন নাইস আহমেদ (১৯) ও মুন্না মিয়া (১৮) নামে দুই শিক্ষার্থী। উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় দুজন নিখোঁজ হন। ঘটনার ৩৩ ঘণ্টা পর মুন্না মিয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কোলকোন্দ ইউনিয়নের ব্যাংকপাড়া এলাকার ডুবোচর থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহত মুন্না মিয়া নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া আবাসনপাড়া এলাকার হাসেম আলীর ছেলে। আর নাইস আহমেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার মোনাব্বর হোসেনের ছেলে। তারা দুজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নাইস গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথান এলাকায় তার নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তার ডুবোচর থেকে মুন্না মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে মেহেীদ মিরাজ, জুয়েল ও লাবলু নামে স্থানীয় তিন যুবক। তারা জানান, দুই শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হবার খবরে এলাকার সবাই নদীর আশেপাশে দৃষ্টি রেখেছিলেন। এরই মধ্যে ডুবোচরের হাঁটু পানিতে কিছু একটা ভেসে থাকতে দেখে আমরা সেখানে চলে যাই। তারপর মরদেহটি উদ্ধার করি।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না জানান, মুন্নার মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন। মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তার দাফনসহ সার্বিক বিষয়ে আমরা নজর রাখছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দাফন কাজের জন্য দেওয়া হবে।
ইউএনও জানান, বুধবার কচুয়াঘাটে তিস্তা নদীতে গোসল করতে নামেন ছয় বন্ধু। প্রবল স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকেন তারা। এসময় ঘাটে থাকা স্থানীয় লোকজন দুটি নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু চারজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও মুন্না ও নাইস তীব্র স্রোতে নিখোঁজ হন। ঘটনার ৩৩ ঘণ্টা পর মুন্না মিয়ার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অপর নিখোঁজ নাইসের মরদেহ উদ্ধারে শুক্রবারও ফায়ার সার্ভিস অভিযান পরিচালনা করবে। মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসএ