রংপুরে যুবলীগের আনন্দ র্যালি
সম্মেলনের দীর্ঘ চার বছর রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। নতুন কমিটি পেয়ে যুবলীগের উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা আনন্দ র্যালি করেছে। এ সময় মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্লোগান দেন তারা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগর যুবলীগের আনন্দ র্যালিটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জিলা স্কুল মোড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে গত পহেলা সেপ্টেম্বর এই নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের মাধ্যমে এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে সভাপতি ও মুরাদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। রংপুর মহানগর যুবলীগের আওতায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড ও মেট্রোপলিটনের ৬টি থানা কমিটি রয়েছে।
আনন্দ র্যালি শেষে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন বলেন, রংপুরসহ সারা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা রংপুরবাসীসহ দেশের মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে যুবলীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তুলে ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুম মনির বাশার জানান, অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রংপুর মহানগর যুবলীগের কমিটি অনুমোদন হয়েছে। সামনের দিনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবলীগ রাজপথে থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহ্বায়ক, ইসমাইল হোসেন সাজুকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুরাদ হোসেন, হারুন অর রশীদ, শ্রী হারাধন রায় হারা, সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটির অনুমোদন দেয় তৎকালীন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০১৯ সালে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও তখন আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ