সাভারে মোবাইল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
সাভারে মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে আকাশ (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ৪টার দিকে সাভার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জব্বর মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত আকাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ভালুকা শেখপাড়া গ্রামের হালিম মৃধার ছেলে। আহতরা হলেন মামুন, নয়ন, মিঠু ও আকাশ।
অভিযুক্তরা হলেন- হৃদয়, রাব্বি, রাসেল ও রনিসহ ১০/১৫ জন। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাতে আড়াপাড়া এলাকায় পপি নামে এক নারীর বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন করেন স্থানীয় যুবকরা। ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমের ছেলের মোবাইল হারিয়ে যায়। পরে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে নয়ন ও প্রান্ত নামে দুই যুবককে মারধর করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় যুবকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ বিকেল ৪টার দিকে আবারও সংঘর্ষ হলে আকাশসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করেন হৃদয়ের পক্ষের লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাতেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খরব দিলে উভয় পক্ষ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। সকাল থেকে আবারও ছুরি, দা ও লাঠি নিয়ে উভয় পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
তবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ছেলের মোবাইল ছিনতাই করার প্রতিবাদ করায় আমার শ্যালক মামুন ও ওর দুই বন্ধুকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ওদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আকাশ নামে একজন নিহত হয়েছেন।
সাভর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি একটি মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আকাশ নামে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে।
মাহিদুল মাহিদ/আরএআর