এক মাসেও ধরা পড়েনি কামড়ে পালানো মাদক কারবারি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে কামড়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মাদক কারবারি সাইদুল ইসলামকে (৪০) এক মাসেও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে এর মধ্যে ওই মাদক কারবারির বাড়ির পাশ থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।
এর আগে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অভিযানের সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান আটক মাদক কারবারি সাইদুল ইসলাম। এ সময় নীলফামারীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ দুইজন সিপাই আহত হন। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই কিশোরগঞ্জ থানায় নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাইদুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা হাতকড়ার চাবিটি থানায় দিয়ে এসেছিলাম। পরে দুই দিন পর পুলিশ হাতকড়াটি উদ্ধার করেছে। মাদক কারবারি সাইদুলের বিষয়ে আমরা থানায় খোঁজখবর রাখছি। তাকে ধরতে পুলিশের পাশাপাশি আমরাও চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদক কারবারি সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। হামলা ও হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলার আগে থেকেই তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছি। ঘটনার দুই দিন পর তার বাড়ির পাশ থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মাদক কারবারি সাইদুল ইসলামকে আটক করে হাতকড়া পরায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাইদুলের দলবল এসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানকারী দলের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ