খুমেক হাসপাতালে ১১ দালালকে জেল-জরিমানা
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ১১ জন দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) খুমেক হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খুলনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
র্যাব জানায়, র্যাবের স্পেশাল কোম্পানি এবং সদর কোম্পানি খুলনার একটি যৌথ অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নিম্নমানের ক্লিনিকের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের সেখানে নিয়ে যান। সেখানে রোগীরা ভালো মানের চিকিৎসা পায় না। বরং বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে বাধ্য হন। তাই আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় দালাল চক্রের ১১ জন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মী জ্যোতির্ময় শীল (২৮) ও লিটন মণ্ডলকে (৩২) ১৫ দিনের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মো. শিফাজুর রহমান (২৮), রিয়াজুল ইসলাম (৩০), ফিরোজ হোসেন (২৭), ফারুক হোসেন (৩৩), ওসমান শেখ (২৯), সিমা বেগম (৩০), আরাফাত আদ্রঙ্গী (২৮), গোলাম রহমান (৩১) ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে (২৭) এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় আরও কয়েকজনকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
র্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে দালালমুক্ত করতে চাই। এজন্য আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ