এমটিএফই’র সিইও'র বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে মামলা
অনলাইনভিত্তিক অ্যাপ এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়ে জয়পুরহাটের এক সিইও'র বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এক ভুক্তভোগীর করা অভিযোগ বুধবার (২৩ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ২০ আগস্ট এমটিএফই'র এক সিইও সাদ আলম চৌধুরীর (২৫) বিরুদ্ধে জয়পুরহাট থানায় অভিযোগ করেছিলেন বিনিয়োগকারী মনিরুজ্জামান ইমন। ইমন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়া মহল্লায় তার বাড়ি।
মামলায় সাদ আলম ছাড়া পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সাদ আলম চৌধুরী শহরের ইরাকনগর মহল্লার শহিদুল আলমের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট শহরের ইরাকনগরের বাসিন্দা সাদ আলম চৌধুরী সবুজনগরে এমটিএফই অফিস খোলেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরাসরি সভা-সেমিনারে ডেকে নিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার কেনার নামে ইমনের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে। এজাহারে আরও চারজন ভুক্তভোগীর নাম রয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমটিএফই'র সিইও পদে থাকা সাদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ অর্থাৎ এমটিএফই একটি অ্যাপ। শুয়ে-বসে কাজ করলেই অ্যাকাউন্টে আসবে ডলার। আর এতে বিনিয়োগ করতে হবে। যে যত বেশি বিনিয়োগ করবে, তার তত ডলার আসবে। এক কথায় বিনিয়োগ করলেই মিলবে উচ্চ মুনাফা। এমনই অফার দিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানটির সিইওরা। তাদের টার্গেট ছিল স্বল্প শিক্ষিত, বেকার ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আর সেই টার্গেট কাজেও এসেছে।
এতে জয়পুরহাট জেলার প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন পেশার মানুষ টাকা বিনিয়োগ করেন। কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে, কেউ জমি বন্ধক রেখে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে, গরু-ছাগল কিংবা সোনা-গহনাও বিক্রি করে অ্যাপটিতে বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। উচ্চ মুনাফা পাওয়ার আশায় শুধুমাত্র জয়পুরহাট জেলার বিনিয়োগকারীদের ১১ কোটির বেশি টাকা খোয়া গেছে।
চম্পক কুমার/এমএএস