ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘স্মার্ট অভিযোগ বক্স’
স্মার্ট সিটিজেন গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার মানোন্নয়নে স্মার্ট অভিযোগ বক্স চালু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২১ আগস্ট) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মার্ট অভিযোগ বক্সের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা ও আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আর উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শওকত আকবর খান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এইচ এম শাহরিয়ার রসুল, আশুগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহাম্মেদ, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নীত হয়েছি। এবার লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি-এই চারটি ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রস্তুত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের রোডম্যাপ। আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের এ ‘স্মার্ট অভিযোগ বক্স’ আশুগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং জনগণকে সরকার ঘোষিত স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে প্রস্তুত করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, আমি এ উপজেলায় যোগদান করে লক্ষ্য করি যে, উপজেলার শিক্ষার মান ক্রমশ নিম্নগামী হচ্ছে। তাই অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের দ্রুততম মাধ্যম হিসেবে ‘স্মার্ট অভিযোগ বক্স’ নামে এ ডিজিটাল মাধ্যম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করি। অনলাইনভিত্তিক এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে উপজেলার যেকোনো অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী সরাসরি তার অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ উপজেলা প্রশাসনের নিকট প্রেরণ করতে পারবে। সে সকল অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। এতে উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাহাদুর আলম/এমজেইউ