ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৯ জনকে ধান চুরি মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠায়। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্য আসামিরা হলেন- আদনান আমিন, ফরহাদ হোসেন, ইফতেখার হোসেন শাওন, নুরুল আমিন, অজি উল্যাহ, খোরশেদ আলম, নোমান পাটওয়ারী, সফি উল্যাহ। তারা রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রাম ও কমলনগরের চর লরেন্স গ্রামের বাসিন্দা।
বাদী জামেনারা আক্তার লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে তার চাচা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে কয়েকজন তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদী জামেনারা আক্তারের চার একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাঁধা দেওয়ায় জামেনারা আক্তারকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর তিনি বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়। চলতি বছর ১৫ মার্চ কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।
আদালত সূত্র জানায়, রোববার মামলার শুনানির পূর্ব নির্ধারিত সময় ছিল। এতে বাদী ও আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিরা জামিন আবেদন করেন। আদালতে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এএএ