পুলিশের বসানো সিসিটিভি বিকল
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভ টিজিং, মাদক, চুরি, ছিনতাই, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণসহ যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে চাঁদপুর শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য শহরের ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের প্রধান সড়কে ৬০টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ফলে শহরের নিরাপত্তা বেড়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। এতে শহরবাসীও স্বস্তি পান।
চাঁদপুর শহরের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ক্যামেরাগুলো বিকল ও ভেঙে পড়ে রয়েছে। এত টাকা দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেও মনিটরিং না থাকায় এসব আজ বিকল হয়ে পড়ে আছে। জেলা পুলিশের কাছে দ্রুত সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক করার দাবি জানান শহরবাসী
কিন্তু ঝড়-বৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে চাঁদপুর শহরের ৬০টি ক্যামেরাই বিকল পড়ে আছে। ফলে নিরাপত্তা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক খুঁটির কোথাও কোথাও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আবার কোথাও নড়বড়ে হয়ে ক্যামেরা ঝুলে পড়ে আছে।
অন্যদিকে শহরে হঠাৎ করেই চুরির প্রবণতা বেড়ে গেছে। এতে শহরে পথচারীরা বিপাকে পড়ছেন। শহরের কালীবাড়ি রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাসস্টেশন এলাকায় এখন হরহামেশা চুরির ঘটনা ঘটছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসা সাংবাদিক (বাণিজ্য প্রতিদিন) গিয়াস উদ্দিনের মানিব্যাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চুরি হয়ে যায়। ঘাটের সিসিটিভি ক্যামেরা সচল না থাকায় চোর চক্রকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া কালীবাড়ি মোড়ে ফার্মেসি থেকে প্রতিনিয়ত নারী-পুরুষ ক্রেতাদের মোবাইল ফোন ও টাকা চুরি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দিলেও এখনো কাউকে শনাক্ত করে আটক করা সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, তা এখন বন্ধ রয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার কেবল ও মেশিনপত্রসহ কিছু সমস্যার কারণে সিসি ক্যামেরা এখন নিয়ন্ত্রনে নেই। তবে শিগগির সব ক্যামেরা ঠিক করা হবে
মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
জসিম মেহেদী ও অভিজিত রায়সহ কয়েকজন শহরবাসী অভিযোগ করে বলেন, চাঁদপুর শহরের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ক্যামেরাগুলো বিকল ও ভেঙে পড়ে রয়েছে। এত টাকা দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেও মনিটরিং না থাকায় এসব আজ বিকল হয়ে পড়ে আছে। জেলা পুলিশের কাছে দ্রুত সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক করার দাবি জানান শহরবাসী।
সারাক্ষণ মনিটরে নজর রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা পুলিশ সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, শহরের ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা দুই থেকে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের কারণে কেবল তার ক্ষতি হওয়ার কারণে সব ক্যামেরা বিকল হয়ে রয়েছে। নতুন-পুরোনো সব তার পাল্টে নতুন তার সংযুক্ত করতে হবে এবং নতুন আরো কিছু ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, তা এখন বন্ধ রয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার কেবল ও মেশিনপত্রসহ কিছু সমস্যার কারণে সিসি ক্যামেরা এখন নিয়ন্ত্রনে নেই। তবে শিগগির সব ক্যামেরা ঠিক করা হবে। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে সিসি ক্যামেরা নিয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি নন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার। তিনি শহরে চুরি-চিনতাই প্রসঙ্গে বলেন, চাঁদপুর শহরে বিশৃঙ্খলা, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমাদের কানে এসেছে। আমরা লঞ্চঘাট, রেলস্টেশস ও বাসস্টেশনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছি।
এনএ