সৌদিতে আগুনে নিহত বারেকের মরদেহ আনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার
সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে বারেক সরদার (৪৫) নামে এক প্রবাসী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের এক ফার্নিচার কারখানায় আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত বারেক নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের উদয়পুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। ঢাকা পোস্টকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকতেখারুল ইসলাম।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নওগাঁর বারেক সরদার। সেখানে কাজ করতেন রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের একটি ফার্নিচার কারখানায়। বারেক সরদারসহ তার ছোট দুইভাই রাকিব সরদার ও হাবিব আলীও কাজ করতেন ওই শহরেই। শুক্রবার বিকেলে কারখানাটিতে আগুন লাগলে বারেক সরদারের মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাতিজা নাহিদ সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাচার মৃত্যুর খবর ছোট দুই চাচা জানান। খবরটি শোনার পর থেকে পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছে। এখন মরদেহটি দেশে আনাই কষ্টকর। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় খরচ করে মরদেহ আনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা পেলে চাচার লাশটি শেষবারের মতো তার স্ত্রী-সন্তানরা দেখতে পেতো।
নিহতের বড় ভাই শাহাদত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন বারেক। তার মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়লো। দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়েটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে। ভাইয়ের লাশ শেষবারের মতো দেখতে পাবো কি না সেটা জানি না। পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
আত্রাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে সৌদিতে মরদেহটি কি অবস্থায় আছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও বলেন, নিহত প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ নেয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মরদেহটি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
আরমান হোসেন রুমন/এএএ