দৌলতদিয়া দিয়ে নির্বিঘ্নে পার হচ্ছে পশুবাহী ট্রাক
ঈদের আর মাত্র ৪দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাটে গরু নিয়ে ছুটছেন ব্যবসায়ায়ী ও খামারিরা। এসব পশুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে জেলা পুলিশ। ঘাটে কোনো পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। এতে সন্তুষ্ট ট্রাকচালক ও গরু ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া ফেরির টিকিট কাটতে পেরে সন্তষ্ট ট্রাকচালক ও গরু ব্যবসায়ীরা। তারা ফেরি ঘাটে এসে নিরাপদে যানজট ছাড়াই দ্রুত ফেরিতে উঠতে পেরে খুশি। পশুবাহী ট্রাক ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ঘাটে। দালালদের ছাড়াই ফেরির টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে ট্রাকের চালক অথবা হেলপাররা নিজেরাই টিকিট নিয়ে ফেরি পারাপার হচ্ছে।
একাধিক ট্রাক চালকরা বলেন, ঘাটে দালাল ছাড়াই নিজেরা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ফেরি পারাপারের টিকিট কাটছি। যানজট মুক্তভাবে নিরাপদে ফেরিতে উঠতে পেরে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা,যশোর ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী বলেন, মহাসড়কে বা ফেরি ঘাটে কোনো চাঁদাবাজি হচ্ছে না। এ বছর তারা নিরাপদে গরু নিয়ে হাটে পৌঁছাতে পারছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো.সালাহউদ্দিন বলেন,পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানজট নেই। তাই বর্তমানে পশুবাহী ট্রাকগুলো কোনো ঝামেলা ছাড়াই ফেরি পার হতে পারছে। ফেরির টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। দালালদের হাতে কোনো টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। ঘাটের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, পশুবাহী ট্রাক যাতে নির্বিঘ্নে ফেরি পারাপার হতে পারে সে জন্য মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সড়কে দালাল, চাঁদাবাজদের রুখতে আমরা সজাগ আছি।
মীর সামসুজ্জামান/আরকে