এমপি নিক্সনের নেতৃত্বে হরতালবিরোধী মিছিল
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের নেতৃত্বে হরতালবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল বের করেন তিনি।
মিছিলটি ভাঙ্গা থানা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা হেফাজতের ডাকা হরতাল ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিলে আরও অংশ নেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন, সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সি, ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মুন্সি, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা হেফাজতের তাণ্ডবে ভাঙ্গা থানা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
শনিবার (২৭ মার্চ) দুুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গা থানার সন্নিকটে জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাঁ মাদরাসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ভাঙ্গাবাজার ঘুরে বিশ্বরোড এলাকায় যায়। পরে বিশ্বরোড থেকে ফিরে মিছিলটি ঈদগাঁ মাদ্রাসামাঠে জড়ো হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি সংগ্রহ করে অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ ব্যক্তি থানায় হামলা করে।
হামলাকারীরা ভাঙ্গা থানার গেট এবং ভেতরে ঢুকে দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় তারা থানার দিকে লক্ষ্য করে ইটের টুকরা ছুড়তে শুরু করে। পরে ব্যারাক থেকে পুলিশ এসে শটগানের ৪৫টি গুলি ছুড়ে ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ হামলা ঠেকাতে গিয়ে দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন ভাঙ্গা থানার এসআই মো. শহীদুল্লাহ (৪৭) ও আবুল কালাম আজাদ (৩৫), এএসআই আজিজুল রহমান (৩৩) এবং কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন (৩৫), শাহ জালাল (২৭) ও মতিউর রহমান (৪৩)। তাদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রোববার (২৮ মার্চ) সকালে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্রুত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর আহমেদ জানান, শনিবারের হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িত ৭ জনকে আটক করা হয়।
বি কে সিকদার সজল/এমএসআর