আনন্দে মাতি দোলের রঙে
উৎসাহ-উদ্দীপনায় বরিশালে চলছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দোল উৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রমতে অঞ্চলভেদে দোলযাত্রা, দোল পূর্ণিমা, হোলি বা বসন্ত উৎসব নামে বলা হয়। বরিশালে দোল উৎসব বলে অভিহিত করা হয়।
রোববার (২৮ মার্চ) নগরী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় দোল উৎসবে মেতে থাকতে দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বন্ধ থাকলেও দোল উৎসবের জন্য বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অনেকেই এসছেন ক্যাম্পাসে। একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছেন।
ধর্মীয়ভাবে দোল উৎসব পালিত হচ্ছে নগরীর শ্রীশ্রী শংকর মঠ, রাধাকৃষ্ণ মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, সরকারি ব্রজমোহন কলেজের মন্দিরসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে। সকালে নগরীর শিতলাখোলা এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দোল উৎসব শুরু হয়। এতে অসংখ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী অংশগ্রহণ করেন।
মূলত ভোরে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী চৈতি কুণ্ডু। এই শিক্ষার্থী মনে করেন, দোল উৎসব যেমন ধর্মীয় আচার, তেমনি পারস্পারিক সর্ম্পক স্থাপনের একটি মাধ্যম। এদিন পুরোনো অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়।
শিক্ষক স্নেহাংশু বিশ্বাস বলেন, শাস্ত্রমতে দোল উৎসব বৈষ্ণবদের উৎসব। শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন এই দিন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন বৈষ্ণবরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগরকীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর