বিআরটি প্রকল্প নিয়ে আর ভোগান্তি থাকবে না : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ঈদুল ফিতরের আগে বিআরটি প্রকল্পের একটি অংশ খুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন টঙ্গী ব্রিজ থেকে স্টেশন রোড হয়ে কলেজগেট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার অংশ প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে পারি। এখন থেকেই ধরে নিন এটি খুলে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সেতুর নিচের অংশটুকুতে যান চলাচল করছে।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকা পর্যন্ত এলিভেটেড অংশের কাজ পরিদর্শন শেষে গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে অনেক ভোগান্তি হয়েছে, আশা করি ভোগান্তি আর থাকবে না। এখন বর্ষার মৌসুম, তাছাড়া কোরবানির পশুর গাড়ি ও যানবাহনের ধীরগতিতে চলাচলে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে। ভোগান্তি কমাতে গতকাল (শুক্রবার) একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে কি, হবে না, সেই দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল। তারপরও প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভেতরে অনেকেই আশা করেনি পদ্মা সেতু হবে। সরকার অনেকগুলো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে একটি-দুটোতে সমস্যা হতে পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেডের অংশ ও মেট্রোরেলের কাজ মতিঝিল এলাকা পর্যন্ত শেষ করতে পারব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পূর্বে একশটি সেতুর উদ্বোধন করে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আগামীতে আরও একশটি সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে সড়কে যানজট কমাতে পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর জসিমউদ্দিন থেকে বিমানবন্দর এলাকায় অংশের কাজ শেষে ঈদের আগেই খুলে দেওয়া হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা দুর্নীতি ও দুঃশাসন করেছে তারা এখন কোন মুখে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বারবার উচ্চারণ করছে। বিএনপি নির্বাচন করতেই দেবে না। বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে একটি বড় মিছিলও করতে পারেনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন, বিআরটির প্রকল্প পরিচালক মো. ইসাক, মহিরুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম প্রমুখ।
শিহাব খান/আরকে