পাওনা টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় কুদ্দুসকে
কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবদুল কুদ্দুস (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৬ মে) ঢাকা পোস্টকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা শহরের শুভপুর এলাকার মৃত মালু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৩১) এবং একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে মামুন (৪২)।
গত ২৪ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর টিক্কারচর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে আবদুল কুদ্দুসকে হত্যা করা হয়। নিহত কুদ্দুস কুমিল্লা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।
জানা গেছে, ঘটনায় নিহত কুদ্দুসের স্ত্রী রুমা আক্তার অভিযুক্ত সোহাগ ও মামুনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোতয়ালী থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা এলাকা থেকে সোহাগ মিয়া এবং মামুনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি টিক্কারচর ঈদগাহ মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে গোমতী নদীর পাড়ে ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে ৮টি এবং মামুনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।
পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে খুন হওয়া আবদুল কুদ্দুসের কাছে ১০ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন প্রধান আসামি সোহাগ। সেই পাওনা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহাগের ছুরিকাঘাতে মারা যান আব্দুল কুদ্দুস উল্লেখ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
আরিফ আজগর/আরকে