নৌকায় ভোট না দিলে কেটে নদীতে ফেলার হুমকির অভিযোগ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পতাকাটা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম মুজিবুল হক কিসলু পাল্টা অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আয়লা-পতাকাটা ইউনিয়নকে একটি ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। নৌকায় ভোট না দিলে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। মামলা দিয়ে সারাজীবন জেল খাটানোর হুমকি দিচ্ছেন আমার নেতাকর্মীদের। এছাড়াও সরকারি দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বিঘ্নে ভোট কেটে কিংবা প্রকাশ্যে ভোট নিয়ে বিজয়ী হওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে সশস্ত্র অবস্থায় ৩০ থেকে ৩৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের আলম বাজার, রামারা বাজার এবং সোনারবাংলা বাজারে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান এম মুজিবুল হক কিসলু। বাজার তিনটির অর্ধশতাধিক দোকান ভাঙচুর করেন তারা। এ সময় আমার কর্মী-সমর্থকদেরও বেদম মারধর করা হয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর অতর্কিত হামলায় দেলোয়ার হোসেন (৫৫) নামে এক চা বিক্রেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও আব্দুল মান্নান ( ৫০), মমতাজ বেগম (৫৫) আলতাফ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনা অভিযোগকে ঢাহা মিথ্যা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, গতকাল রাতে আমার নির্বাচনী পথসভায় হামলা চালায় মোশাররফ হোসেনের কর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করা হয়। আর ভাঙচুর শেষে কয়েকটি দোকান এবং বসতঘরে লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ আমার ১০ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনিও সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/আরএআর