ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরগুনায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে লতিফ (৪৫) নামের এক প্রাইভেট শিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী শিক্ষক লতিফের বাসায় পড়তে যায়। পড়তে পড়তে রাত বেশি হলে শিশুটি শিক্ষকের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে। এই সুযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে শিশুটির মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্ত শিক্ষক শিশুটির মাকে কল দিয়ে অসুস্থতার কথা জানায়। পরে শিশুটির মা এসে শিশুটিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এরপর, একই বছরের ১৩ মার্চ শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিক্ষক লতিফের নামে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পাথরঘাটা থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান ওই বছরের ৩০ মে আসামি লতিফের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন। মামলা দায়েরের সাত বছর পর গতকাল আদালত এই রায় প্রদান করেন। এ সময় আসামি লতিফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রায়ে খুশি ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার। মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, দেরিতে হলেও আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘৃণিত কাজ যেন কেউ না করতে পারে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। মহামান্য আদালতের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
খান নাঈম/এমজেইউ