সম্পদের তথ্য গোপন করায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিলের পর এবার আয়কর রিটার্নে সম্পদের তথ্য গোপন করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের গণফ্রন্ট মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২ মে) দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে আতিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সম্পদ গোপন করেছেন বলে তারই নির্বাচনী হলফনামায় উঠে এসেছে। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের আয়কর বিবরণীতেও সম্পদ গোপন করার ও আয়-ব্যয়ের হিসাবে গড়মিল লক্ষ্য করা গেছে। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছয়দানা—হারিকেনস্থ বাড়ির আধুনিক সুপরিসর লিফট, ২ ডজন এসি, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেখিয়েছে মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, আর কনফারেন্স টেবিল ও অর্ধশত চেয়ার, খাট, রাজকীয় সোফাসহ আসবাবপত্র দেখিয়েছেন মাত্র ১ লখি ৫০ হাজার টাকা। এতে ৫ কোটি টাকার গড়মিল বেড়িয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের আয়কর বিবরণীতে উল্লেখিত ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, অন্যান্য লাইসেন্স, অফিস, কর্মী সরবরাহকৃত মালামালের উৎস ও বৈধতা, ভ্যাট প্রদানের প্রমাণ এবং আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে গড়মিল রয়েছে। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তার প্রাইভেট সাপ্লাই ব্যবসায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিল গ্রহণ করেছেন বলে আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেছে।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আয়কর রিটার্নে ২টি কোম্পানির বিনিয়োগকারী শেয়ারহোল্ডার হিসেবে লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বেতন-ভাতা গ্রহণের বিষয়গুলো গোপন করেছে। সংশ্লিষ্ট আয়কর অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আয়কর বিবরণীতে ব্যাপক গড়মিল করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমাদের এখানে বাছাই কমিটি আছে। তাদের বাছাইয়ের পর সে রকম কোনো অসংগতি দেখা দিলে সুপারিশ নিয়ে ঢাকা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। পরে ঢাকা থেকে যাচাই শেষে যদি মনে করেন তদন্তযোগ্য তাহলে আমাদের অনুমতি দেবেন। পরবর্তীতে আমরা এ অভিযোগের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করবো।
শিহাব খান/এবিএস