রংপুরে কখন কোথায় ঈদের জামাত
রংপুরের ঈদগাহগুলোতে ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এবার ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা হাফিজুল ইসলাম।
তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প স্থান হিসেবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুই পর্বে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং সকাল ৯টায় ওই জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর রংপুর মহানগরীর ৭৫টিসহ জেলার প্রায় ১ হাজার ২০০ ঈদগাহ মাঠে জামাত আদায় করবেন মুসল্লিরা।
এদিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় দামোদরপুর বড় ময়দান মাঠে এবং গঙ্গাচড়ার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে। এই দুই ঈদগাহে প্রতি বছর অর্ধলাখের বেশি মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
অন্যদিকে নগরীর মুন্সিপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়, হযরত মাওলানা কেরামত আলী (রহ.) মাজার সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, মন্ডলপাড়া বড় ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৯টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ৯টায়, বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তারাগঞ্জ চৌপথি ঈদগাহ, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, গঙ্গাচড়ার পাইকান বড় জুমা মসজিদ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধাপ স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ মাঠে এবং বুড়িরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বুড়িরহাট মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।
এদিকে সিটি করপোরেশনের আয়োজনে নগরীর ৫০টি ঈদগাহে নামাজ আদায় হবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। ঈদকে ঘিরে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও চত্বরগুলোসহ সড়কের মোড়ে মোড়ে আলোকসজ্জা, ঈদ মোবারক লেখা রঙিন পতাকা সাটানো হয়েছে।
কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা স্যারের নির্দেশে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে কয়েক দিন থেকে মাঠের কাজ চলছে। রোদ-বৃষ্টির জন্য মাঠে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
রংপুরে ঈদের প্রধান জামাতে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে রংপুর সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় প্রশাসন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ সরকাবি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করবেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাকর্মীসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করবেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ঈদের জামাত নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তারপরও ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ঈদের জামাতে পুলিশ থাকবে। প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, জেলার ৮ থানায় নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, পুলিশের মোবাইল পেট্রোলিংসহ ঈদের দিন স্ট্যান্ডবাই তিন গাড়ি পুলিশ প্রস্তুত থাকবে, যাতে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সহজেই মোকাবিলা করা যায়।
অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ ডব্লিউ রায়হান শাহ জানান, মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ সবার সঙ্গে মিটিং হয়েছে। যাতে করে সবাই নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ