সেপটিক ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ শিশুর মরদেহ
গাইবান্ধায় বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর (নন্দিরভিটা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল্লাহ গোবিন্দপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মাহবুর রহমান ও জোসনা বেগমের ছেলে।
আব্দুল্লাহর স্বজনরা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল্লাহকে বিছানায় ঘুমিয়ে রেখে পাশের বাড়িতে যান তার মা। আব্দুল্লাহ যে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল এর পাশের ঘরে তার বোন পড়ছিল। ৫ মিনিট পরে এসে দেখা যায় আব্দুল্লাহ বিছানায় নেই। তারপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় রাতেই সদর থানায় অবগত করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে আব্দুল্লাহর পরিবারের লোকজন বাড়ির আশপাশে ভালো করে খুঁজতে গেলে পাশের বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের পাশে একটি কাথা পড়ে থাকতে দেখে সবাই। সন্দেহ হলে ট্যাংকের ভেতর তল্লাশি করে আব্দুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটি আমার আত্মীয়। নিখোঁজের পর আমিসহ প্রায় সহস্রাধিক মানুষ খোঁজাখুঁজি করেছি। পরে আজ সকালে বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ পাওয়া গেছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে গতকাল নিখোঁজ হওয়া ওই শিশুর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি কীভাবে সেপটিক ট্যাংকে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
রিপন আকন্দ/আরকে
