রাজবাড়ীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা কোর্ট চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- দৈনিক মাতৃকণ্ঠ, বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক বাংলা পত্রিকার রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি মইনুল হক মৃধা ও দৈনিক ইনকিলাবের গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা মোজাম্মেল হক লাল্টু।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মীরা জানান, শনিবার বিকেলে সারা দেশের ন্যায় গোয়ালন্দেও বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা কোর্ট চত্বরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস এলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ওই গাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় সাংবাদিকরা ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করতে গেলে কয়েকজন নেতাকর্মী সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। পরে হামলায় আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মইনুল হক মৃধাকে ভর্তি ও মোজাম্মেল হক লাল্টুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত সাংবাদিক মইনুল হক মৃধার স্ত্রী সাবরিন আক্তার এ ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আজ আমার স্বামী আহত হয়েছে। এর যদি বিচার না হয় তাহলে অন্যরাও এ রকম হামলার শিকার হবে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, ভাঙচুরের শিকার মাইক্রোবাসে তাদের কর্মসূচিতে যোগ দিতে কয়েকজন নেতা এসেছিলেন। হামলার শিকার হয়ে তারা আর কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিপূর্বে গোয়ালন্দে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মীর সামসুজ্জামান/এমজেইউ