নেত্রকোণায় পানিতে ডুবে একদিনে তিন শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোণায় নদী ও পুকুরের পানিতে ডুবে একই দিনে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলার বারহাট্টা ও দুর্গাপুর উপজেলার পৃথক স্থানে শিশুদের এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের গিরিশ সূত্রধরের কন্যা দিয়া সূত্রধর (১০), একই গ্রামের দীপক সূত্রধরের কন্যা মেঘলা সূত্রধর (৯) এবং দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৮)। তাদের মধ্যে দিয়া ও মেঘলা সম্পর্কে চাচাতো বোন এবং তারা স্থানীয় বাট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এছাড়া শিশু মাহবুবুর রহমানও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশু দিয়া ও মেঘলা অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পেছনে কংস নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় তারা সাঁতরে নদীর তীর থেকে অনেকটা দূরে চলে যায়। এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে দিয়া পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। তা দেখে মেঘলা তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে অন্য শিশুদের ডাকে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানও। এ সময় তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, দুই শিশুই সাঁতার জানত। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সাঁতরে ক্লান্ত হয়ে পানিতে তলিয়ে মারা গেছে।
স্থানীয় বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি সত্যিই হৃদয়বিদারক। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অপরদিকে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামে শিশু মাহবুবুর রহমান। এক পর্যায়ে সে পুকুরে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মাহবুবুর রহমান আগের দিন বৃহস্পতিবার মউ গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল হান্নান বলেন, শিশু মাহবুবুর রহমানের মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিয়াউর রহমান/এবিএস