মাদরাসাছাত্রকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক
মাদারীপুরের শিবচরে শ্রেণিকক্ষে পাথর দিয়ে খেলার কারণে হাসান মিয়া (১১) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে হাসান মিয়া শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রোববার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর কাচাই মাদবরের কান্দি দারুল উলুম নুরুল কোরআন মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে ছেলেটির বাবা শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত হাসান উপজেলার পাচ্চর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হোগলার মাঠ এলাকার দবির খলিফার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসান মিয়া ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসান মাদরাসার একটি কক্ষে পাথর দিয়ে খেলছিল। এ সময় মাদরাসার শিক্ষক আবদুস সালাম তাকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার হাত-পা ফুলে জখম হয়। পরে এই ঘটনা শুনে মাদরাসায় গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান দবির খলিফা। পরে তার শরীরের অবস্থা অবনতি হলে গতকাল বুধবার দুপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। ওই ছাত্রের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাসানের মা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলেকে অনেক মারধর করেছে। ওই হুজুর (মাদরাসার শিক্ষক) আমার ছেলেকে ৪০টি বেতের বাড়ি দিয়েছেন। এছাড়া আগেও আরও অনেক ছেলেকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
হাসানের বাবা দবির খলিফা বলেন, যেভাবে আমার ছেলেকে মারধর করে আহত করেছে, এটা ঠিক করেনি। আমি ঘটনাটি শুনে মাদরাসায় গিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করতে আসে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক মো. আবদুস সালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ওই ছাত্রকে মাদরাসার ভেতরে খেলাধুলা করতে বারণ করলেও সে আমর কথা শুনেনি। তাই তাকে দুয়েকটা থাপ্পড় দিয়েছি। ওই ছাত্রের পরিবার যে অভিযোগ দিয়েছে এটা মিথ্যা।
এ বিষয়ে মাদরাসার মুহতামিম আল আমিন শিরাজী বলেন, আমি ঘটনার দিন ঢাকা ছিলাম। মাদরাসায় এসে ঘটনাটি শুনি। স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসার পরিচালনা কমিটিকে জানিয়েছি। যদি ওই শিক্ষক অপরাধ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে থানায় ছেলেটির বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাকিব হাসান/এমজেইউ