থানা থেকে অভিযোগ না তোলায় পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টায় গ্রেপ্তার ২
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একজনের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় দেওয়া অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় প্রতিপক্ষ হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ হামলার শিকার ব্যক্তির পরিবারের। আহত আবুল কালাম (৩৮) উপজেলার শাকুয়াই খালপাড় গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে।
এ ঘটনায় ইয়াসিন মিয়া (২৫) ও মো. মুবিন (২৩) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ এপ্রিল) হালুয়াঘাট থানায় কালামের ভাই আবদুস সালামের করা মামলায় ওই দু’জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মাসের শুরুতে স্থানীয় সুনাই বিলে মাছধরা নিয়ে তার সঙ্গে প্রতিবেশী ইদ্রিস আলীর হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার পর ইদ্রিসের লোকজন কালামকে বেঁধে নির্যাতন করেন। এ নিয়ে ১৮ মার্চ হালুয়াঘাট থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন কালামের ভাই আবদুস সালাম। পুলিশ এলাকায় গিয়ে তদন্তও চালায়। এর মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী খান বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন।
মঙ্গলবার দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই রোববার রাতে হামলার শিকার হন কালাম। স্থানীয় মহিলা বাজার এলাকায় পেছন থেকে হাত বেঁধে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে কালামের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় দৌঁড়ে বাজারের ভেতর গেলে লোকজন আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালামকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আগের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটত না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া আগের ঘটনায় অভিযোগ দিলেও থানা মামলা নেয়নি।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানা পুলিশের ওসি শাহীনুজ্জামান খান বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। আগের ঘটনায় অভিযোগ দিলেও বাদী লিখিত আবেদন করে প্রত্যাহার করে নেন। সেই কপি সংরক্ষিত রয়েছে। এবারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
ওসি অভিযোগ প্রত্যাহারের কথা বললেও বাদীর দাবি, তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে কোনো আবেদন করেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন, বিরোধ মেটাতে দু’পক্ষই রাজি ছিল। তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘটনাটি ঘটাতে পারে। সঠিক তদন্ত হলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।
উবায়দুল হক/এমএএস