কার্বন তৈরির কারখানায় আগুন, সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
রাজবাড়ী সদর উপজেলার আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি চারকোল কারখানায় (পাটখড়ির ছাই থেকে কার্বন তৈরির কারখানা) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রোববার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের দর্পনারায়ণপুর গ্রামে এ আগুন লাগে।
আগুনের সূত্রপাত হলে আশপাশের বাড়িঘরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ শুরুর প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
চারকোল কারখানার কর্মী সাব্বির জানান, তারা ৮ জন কর্মী কারখানার অফিস কক্ষে ইফতার শেষ করে মাগরিবের নামাজ পড়তে বসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নামাজ শেষ করে উঠেই দেখেন কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সেসময় তারা ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দেন।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জানান, ৭টা ৪০ মিনিটে তারা আগুন লাগার খবর পেয়ে দু’টি ইউনিট দ্রুত এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের আরও দু'টি ইউনিট এসে কাজে যোগ দেয়। ৪টি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টা কাজ করে রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে তিনি বলেন, আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অর্থাৎ আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আর কোনো আশঙ্কা নেই। তবে ৪টি ইউনিট সারা রাত কাজ করেও আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ কারখানার মধ্যে পাটখড়ির ছাই থেকে তৈরি করা বিপুল পরিমাণ কার্বন মজুদ করে রাখা হয়েছে। কার্বনে পানি দিলে আরও বেশি জ্বলে উঠছে। যে কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ ধরণের একটি কারখানায় যে ধরণের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা তার কিছুই নেই। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে আগুন এতোটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারত না।
চারকোল কারখানার মালিক আতিকুর রহমানের বলেন,আমাদের কারখানাটি ছোট হওয়ায় তেমন বড় ধরণের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। যতটুকু ব্যবস্থা ছিল তাতে এতো বড় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এ অগ্নিকাণ্ডে আমার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান/আরকে