‘৩০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে ৩ ঘণ্টা’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে দাউদকান্দি মেঘনা গোমতী সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়কের চালক এবং যাত্রীরা।
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫০ কিলোমিটারজুড়ে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল থেকে মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোলপ্লাজা থেকে গজারিয়া হয়ে দাউদকান্দি গোমতী টোলপ্লাজা পর্যন্ত উভয়মুখী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। অনেক যাত্রীকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া যানজটের সুযোগে বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবেরচর থেকে সায়েদাবাদের ৬০ টাকার ভাড়া এখন ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া ভবেরচর থেকে সোনারগাঁওয়ে মোগরাপাড়ার ভাড়া ২০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এর নানা কারণ দেখাচ্ছেন। তারা জানান, তীব্র যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছে না। যার ফলে তারা ভাড়া কিছুটা বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সাইফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, ইলেটগঞ্জ থেকে কাঁচপুর উদ্দেশ্যে তিনি সকাল ৭টায় রওনা হয়েছেন। ৩ ঘণ্টায় তিনি মাত্র ভবেরচর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। যেখানে তার ইলেটগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে ভবেরচর মাত্র ৩০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল।
রমজান আলী নামের আরেক যাত্রী বলেন, অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে তীব্র যানজটের কারণে বাসায় ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
কথা হয় রিপন মিয়া নামে আরেক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, জরুরি কাজে মেঘনাঘাটে যাওয়ার জন্য বেলা ১১টায় বাউশিয়া থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু তীব্র যানজটের ফলে আমাকে উল্টোপথে রিকশাযোগে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। সেজন্য আমাকে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
মহশিন চৌধুরী নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে দাউদকান্দি থেকে রওনা হন। ভবেরচর আসতেই সাড়ে ১১টা বেজে গেছে।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ এ এস এম রাশেদুল ইসলাম জানান, স্নানোৎসবের কারণে হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি। সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে আমাদের পুলিশের টিম কাজ করে যাচ্ছে।
ব.ম শামীম/আরকে