অবৈধ ট্রলি বন্ধে ৫ গ্রামের কৃষকদের মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলি চলাচল বন্ধ ও ইটভাটা মালিকদের কবল থেকে ফসলি জমির উর্বর মাটি রক্ষায় মানববন্ধন করেছে ৫ গ্রামের কৃষকরা। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের শমেসপুর গ্রামের একটি ফসলি মাঠে কৃষকরা অংশ নেন।
ভোলাকোট ও ভাদুর ইউনিয়নের কৃষকদের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কৃষক তাহের পাটেয়ারী, ফারুক হোসেন, মো. শাহজাহান, মো. মহসিন, লাকি বেগম, আরিফুর রহমান, রেজাউল করিম ও জয়নাল আবেদিনসহ অনেকেই।
বক্তারা জানায়, ভাদুর ও ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা, শমেসপুর, সিরন্দি, শাকতলা ও সারপাড়া গ্রামে ৫ শতাধিক কৃষক রয়েছে। ট্রাক্টর ট্রলি চলাচলে এলাকা ধুলাবালি সৃষ্টি হয়। ইটভাটার জন্য ট্রাক্টর ট্রলিতে করে মাটি নেওয়া হয়। এতে আশপাশের জমিগুলো ট্রলির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন সময় বাধা দিয়েও এটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফসলি জমির উর্বর মাটিগুলো প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ইটভাটা মালিকরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে রামগঞ্জে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ ট্রলি চলাচল বন্ধ ও ফসলি জমি রক্ষায় বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এজন্য এখন আন্দোলনে নামতে হয়েছে। প্রশাসনের কাছ থেকে একটি সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছে বক্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির তিনজন প্রতিনিধি জানায়, অন্তত ২০টি সভায় ট্রলি বন্ধের জন্য আলোচনা হয়েছে। সভায় ট্রলি বন্ধের সিদ্ধান্ত হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। ট্রলি চলাচলে ধুলাবালিতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। নাক-মুখ দিয়ে ধুলাবালি ঢুকে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। রামগঞ্জে অতিরিক্ত ট্রলি চলাচল হচ্ছে। বেপরোয়া গতির ট্রলি চাপায় অনেকেই নিহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে ট্রলি বন্ধ ও ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটা বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে