ইঞ্জিন কাভার ও সামনের সিটের যাত্রীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। বাসটির সামনের দিকের সিটে যেসব যাত্রীরা বসে ছিলেন তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ফরিদপুর জোনের উপ-সহকারী পরিচালক শিপলু আহম্মেদ।
তিনি বলেন, ‘বাসটিতে মোট ৫৪টি আসনের চেয়ে যাত্রী বেশি ছিল। প্রতিটি আসন এবং ইঞ্জিনের কাভারেও যাত্রী বসে ছিলেন। এর মধ্যে যারা ইঞ্জিনের কাভার ও সামনের দিকে বসেছিলেন তাদের মৃত্যুই বেশি দেখা গেছে।’
উপ-সহকারী পরিচালক শিপলু আহম্মেদ আরও বলেন, ৬০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন ওই পরিবহনে। যাত্রীদের অধিকাংশ লোক আহত হয়েছেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এরপর মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারি। এ নিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে সকল আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হসপিটালে পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। এছাড়া শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত দুইজনের মৃত্যু এবং ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
রাকিব হাসান/আরকে