শরীয়তপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাঙচুর
শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ মার্চ) জেলার রাজগঞ্জ ব্রিজের সামনে শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীর সমর্থকদের সঙ্গে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ সরদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
পরে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে পালং বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
এর আগে সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ সরদারের চাচা শফিজ উদ্দিন সরদারের মালিকানাধীন মার্কেটের ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। ওই দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাশেদ সরদার, আসলাম সরদার, আলী আজগর সরদার, দোকান কর্মচারী সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করেছিল। পরে দুই পক্ষের সমোঝোতার কারণে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীর সমর্থক ছাত্রলীগকর্মী সজিব সরদারের সঙ্গে রাশেদ সরদারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাশেদ ও তার সমর্থকেরা সজিবকে মারধর করেন। খবর পেয়ে বাচ্চু বেপারীর সমর্থকেরা রাশেদের চাচার মার্কেটের সামনে জড়ো হন।
একপর্যায়ে রাশেদের সমর্থকেরা ওই মার্কেটের ছাদ থেকে ইট নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে বাচ্চু বেপারীর সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে মার্কেটের ১০টি দোকান ভাঙচুর করেন। পরদিন বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বাচ্চু বেপারীর ভাই চুন্নু বেপারী পালং বাজারের রিয়াদ প্লাজার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই ভবনের ছাদ থেকে তাকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করা হয়।
খবর পেয়ে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাচ্চু বেপারীর সমর্থকরা রাশেদের চাচার মার্কেটের সামনে জড়ো হন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে বাজার বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে এমপি ইকবাল হোসেন ও পুলিশ সদস্যরা দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারী বলেন, ‘রাশেদ সরদার বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। প্রায় তিনি বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরক্ত করেন। আমার তার প্রতিবাদ করি। এ কারণে তিনি আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও জনতা লাঠি নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলামউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংঘর্ষের পর থেকে পালং বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকারপাট বন্ধ রেখেছেন। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এখানো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর