২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে
জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, শত প্রতিকূল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমির স্বল্পতা, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, সম্পদের স্বল্পতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্বসেরা ভিশনারী রাষ্ট্রনায়ক, বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন ও সর্বব্যাপী মানবকল্যাণের পথে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে অভ্যুদয়ের সময় আমাদের জাতীয় সম্পদ ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন ৮৪ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করতো। মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৩ মার্কিন ডলার। পাকিস্তানিদের নারকীয়তায় দেশ ছিল ধ্বংস প্রাপ্ত। এমনকি ২০০৮ সালেও আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯৩ ডলার। অর্থনীতির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি ছিল ১৪.১ বিলিয়ন ডলার। দারিদ্র্য সীমা ছিল ৩৮ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সেই বাংলাদেশ আজ বিচক্ষণ রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ- নেতৃত্বে দেশের সকল শ্রেণিপেশার নাগরিকদের মেধা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের বিশ্ব মডেলে উন্নীত হয়েছে। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৬৬ বিলিয়ন ডলার, মাথা পিছু আয় ২,৮৫০ ডলার, অতি দারিদ্র্য ১০.৫ শতাংশে নেমেছে, রপ্তানি ৫৩ বিলিয়ন, বিশ্বমন্দার মাঝেও ৩১ বিলিয়নের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। আয়তনে বিশ্বে ৯৪তম, জনসংখ্যার ৮ম বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম এবং ২০৩৭ সালের মধ্যে ২০তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নূন্যতম মাথাপিছু আয় হবে ৪,১২৬ ডলার এবং আমাদের যে লক্ষ্য তাতে ২০৪১ সালের পূর্বেই আমাদের মাথাপিছু আয় ১২,৭৩৬ ডলার অতিক্রম করতে হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তি ও বেলুন উড়িয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম সোলায়মান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, অধ্যক্ষ আব্দুল মোমেন, অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল, মো. গোলাম হাক্কানি, সংস্কৃতিসেবক আমিনুল হক বাবুল প্রমুখ।
এমএএস