বিএনপির আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনদুর্ভোগ নিরসনের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি দাবি না মানে, তবে গণ-অভ্যুত্থানে গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটবে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।
বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঠিক পথে হাঁটছে উল্লেখ করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ, গুম, খুন, চুরি, দুর্নীতি, লুটপাটের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। আর বের হতেও পারবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নিজেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চুরি, লুটপাটের জন্য তার দলকে চোরের খনি আখ্যায়িত করেছিলেন, আজও তারা সেখান থেকে বের হতে পারেনি। রিলিফের কম্বল চুরি দিয়ে শুরু করে ছাগল চুরি, ভোট চুরি থেকে রিজার্ভ চুরি, কোনো চুরি বাদ দিচ্ছে না তারা। বাকশাল কায়েম দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা শুরু করেছিল, এখন গণতন্ত্র, ভোটাধিকার হরণ করে দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়েছে। জনগণের জীবন, জীবিকা বিপন্ন করে তুলেছে।
এদিন বিকেল থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে নগরীর নতুন বাজার থেকে গাঙ্গিনারপাড় হয়ে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমের নেতৃত্বে হরি কিশোর রায় রোড থেকে আঠার বাড়ি বিল্ডিং, ছোট বাজার, বড় বাজার হয়ে রেলওয়ে স্টেশন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুনের নেতৃত্বে র্যালির মোড় থেকে রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত নেতাকর্মীরা পদযাত্রা সহকারে প্রচারপত্র বিতরণ শেষে রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে পথসভায় মিলিত হন।
এ সময় শরীফুল আলম বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। লুটপাটের ক্ষতি পোষাতে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে সরকার। দেশের বেহাল অবস্থার জন্য সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত, অব্যবস্থাপনা দায়ী।
ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, গণ আন্দোলনে সরকার ভীত হয়ে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে। দমন নিপীড়ন চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। দমন, নির্যাতন বন্ধ করে গণ দাবি মেনে পদত্যাগ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সকালে দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি, দুপুরে ইতিকথা কমিউনিটি সেন্টারে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদল, সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ মহানগর যুবদল, রাতে একই স্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা সংগঠনের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।
এ সময় ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহমেদ বুলু, ফারজানা রহমান হোসনা, অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান, শামীম আজাদ, মাহবুবুল আলম বক্তব্য দেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম রাজু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ময়মনসিংহ মহানগর যুবদলের সভায় সভাপতিত্ব করেন মোজাম্মেল হক টুটু ও সঞ্চালনা করেন জুবায়ের হোসেন শাকিল।
উবায়দুল হক/আরএআর